ঢাকার আশেপাশে কম খরচে ঘুরার জন্যে অনেক জায়গা আছে, প্রকৃতিপ্রেমীদের
জন্য
একটা একদিনের প্ল্যান দিচ্ছি, দেখেন- ভাল লাগতে পারে ।
রুটঃ ঢাকা-শ্রীমঙ্গল-লাউয়াছড়া-ভানুগাছ-মাধবপুর লেক-শ্রীমঙ্গল টি বোর্ড মিউজিয়াম-শ্রীমঙ্গল-ঢাকা
খরচঃ আনুমানিক ৮০০ টাকা(ট্রেনে আসা যাওয়া করলে) বাসে- ১০০০টাকা।
একটা একদিনের প্ল্যান দিচ্ছি, দেখেন- ভাল লাগতে পারে ।
রুটঃ ঢাকা-শ্রীমঙ্গল-লাউয়াছড়া-ভানুগাছ-মাধবপুর লেক-শ্রীমঙ্গল টি বোর্ড মিউজিয়াম-শ্রীমঙ্গল-ঢাকা
খরচঃ আনুমানিক ৮০০ টাকা(ট্রেনে আসা যাওয়া করলে) বাসে- ১০০০টাকা।
রওনা হবার সময়ে রাত ৯ঃ৫৫তে উপবন এক্সপ্রেসে চেপে বসবেন, অথবা সায়দাবাদ রাত
১২টার বাসে রওনা হবেন, এগুলো খুব ভোরে শ্রীমঙ্গল পৌছায় সাড়ে ৪টার দিকে।
এরপর সকালে স্টেশনের কাছে নাশতা করে হেটে ভানুগাছ টেম্পু স্ট্যান্ডে যেয়ে লোকাল সিএনজি চেপে বসবেন। কাউকে জিজ্ঞেস করলেই দেখিয়ে দেবে ভানুগাছ সিএনজি স্ট্যান্ড। সকাল ৭টার আগে সিএনজি পাওয়া কঠিন। প্রথম ট্রিপেই চেপে বসবেন।
ওই সিএনজি আপনাকে লাউয়াছড়া রিজার্ভ ফরেস্টের গেটে নামাবে,যেতে লাগে ৩০ মিনিট।
রিজার্ভ ফরেস্টের টিকেট কেটে ভেতরে নিজেরাই ঘুরে বেড়াবেন, গেট থেকে গাইড নিতে বলবে টিকেট সেলাররা, নেবেন না, গাইড লাগেনা, ভেতরে পাকা রাস্তা আছে। পথ হারানোর ভয় নেই।
লাউয়াছড়ায় ৩ঘন্টা দেবেন, এরপর মূল রাস্তায় এসে আবার আরেক সিনজিতে চড়বেন, হয়তো একটু দাড়াতে হবে, ১৫ মিনিট বড়জোড়, শুধু শুধু রিজার্ভ নিতে যাবেন না।
এবারে যাবেন ভানুগাছ বাজারে। লোকাল সিএনজি আর লেগুনা চলে এই রাস্তায়, অযথা অধৈর্য্য হবেন না। ভানুগাছ পোউছে মাধবপুরের সিএনজিতে উঠতে পারেন, কিন্তু সিএনজি আপনাকে নামাবে লেক থেকে ১ কিলোমিটার দূরে, হেটে যেতে হয়, তাই এখান থেকে ব্যাটারি চালিত রিকশা নেবেন। মাধবপুর লেকে আসা যাওয়া মিলিয়ে ২০০ নেবে ১ ঘন্টা ওয়েটিং সহ। এক ঘন্টা মাধবপুরে কাটাবেন। এরপর আবার ভানুগাছ ফিরে এখানেই দুপুরের খাবার খাবেন। ভালো রেস্টুরেন্ট আছে, হাওরের মাছ পাবেন। গ্রাম-বাংলা নামে একটা দোতালা রেস্টুরেন্ট আছে, সেখানে খুব ভালো পাবদা মাছ পাবেন।
ভানুগাছ বাজার থেকে শ্রীমঙ্গলের লোকাল সিএনজিতে চেপে শ্রীমঙ্গল বাজারের আগেই ন্যাশনাল টি মিউজিয়াম/বোর্ড এর গেটে নেমে যাবেন।
সিএনজি চালককে বলে রাখবেন আগেই, ওই নামিয়ে দেবে। টি বোর্ড মিউজিয়ামের চা বাগানের মাঝে ছড়া আছে একটা, এখানে ঘুরাঘুরি করে শ্রীমঙ্গল স্টেশনে ফিরবেন রিকশায় চেপে ৫ঃ৩০ এর মাঝে। বাজার থেকে খুব ভালো চা পাবেন, কিনে নিতে ভুলবেন না।
এর পর ঢাকার টিকেট কেটে ৫ঃ৫৫ এর পারাবর এক্সপ্রেস ট্রেনে ঢাকায় রওনা হয়ে যাবেন। রাত ১১টায় পৌঁছে যাবেন ঢাকা।
ট্রেন ভাড়া (১৮৫/২৪৫ শোভন/শোভন চেয়ার) করে, লোকাল সিনজি ভাড়া ৩০ করে পাড় হেড, শ্রীমঙ্গল-লাউয়াছড়া-ভানুগাছ-লাউয়াছড়া সব খানেই ৩০ টাকা করে খরচ পাড় হেড।
বিঃদ্রঃ সিনজি সারাদিনে রিজার্ভ নিয়েও চাইলে ঘুরতে পারেন, সারাদিনে ১০০০ টাকা নিতে পারে, বেশিও হতে পারে, টুরিস্ট দেখলেই ভাব বাড়ে। আর রিজার্ভ নিতে যেয়ে আপনাকে আজাইরা কিছু স্পটের নাম বলবে, খাসিয়া পুঞ্জির লোভ দেখাবে, ওরা আপনাকে যেই পুঞ্জি দেখাবে, এটা আসলে পুঞ্জিই না, আধুনিক গ্রাম, টেংরাটিলা গ্যাস দুর্ঘটনার জায়গার লোভ দেখাবে, এটা আদতে একটা ছোট ডোবা, লাউয়াছড়া থেকে ভানুগাছ যাবার রাস্তার পাশেই, লোকাল সিএনজির ড্রাইভারই আপনাকে বাইরের মানুষ বলে এটা দেখাবে।
আর যদি সব প্লেস পায়ের তলায় সর্ষে বেধে উড়ে বেড়ান, শেষ বিকেলে বাইক্কা বিল ঘুরে আসতে ভুলবেন না, অবশ্যই ট্রেনের সময় মাথায় রাখবেন।
লেখা- মাশুকুর রহমান
এরপর সকালে স্টেশনের কাছে নাশতা করে হেটে ভানুগাছ টেম্পু স্ট্যান্ডে যেয়ে লোকাল সিএনজি চেপে বসবেন। কাউকে জিজ্ঞেস করলেই দেখিয়ে দেবে ভানুগাছ সিএনজি স্ট্যান্ড। সকাল ৭টার আগে সিএনজি পাওয়া কঠিন। প্রথম ট্রিপেই চেপে বসবেন।
ওই সিএনজি আপনাকে লাউয়াছড়া রিজার্ভ ফরেস্টের গেটে নামাবে,যেতে লাগে ৩০ মিনিট।
রিজার্ভ ফরেস্টের টিকেট কেটে ভেতরে নিজেরাই ঘুরে বেড়াবেন, গেট থেকে গাইড নিতে বলবে টিকেট সেলাররা, নেবেন না, গাইড লাগেনা, ভেতরে পাকা রাস্তা আছে। পথ হারানোর ভয় নেই।
লাউয়াছড়ায় ৩ঘন্টা দেবেন, এরপর মূল রাস্তায় এসে আবার আরেক সিনজিতে চড়বেন, হয়তো একটু দাড়াতে হবে, ১৫ মিনিট বড়জোড়, শুধু শুধু রিজার্ভ নিতে যাবেন না।
এবারে যাবেন ভানুগাছ বাজারে। লোকাল সিএনজি আর লেগুনা চলে এই রাস্তায়, অযথা অধৈর্য্য হবেন না। ভানুগাছ পোউছে মাধবপুরের সিএনজিতে উঠতে পারেন, কিন্তু সিএনজি আপনাকে নামাবে লেক থেকে ১ কিলোমিটার দূরে, হেটে যেতে হয়, তাই এখান থেকে ব্যাটারি চালিত রিকশা নেবেন। মাধবপুর লেকে আসা যাওয়া মিলিয়ে ২০০ নেবে ১ ঘন্টা ওয়েটিং সহ। এক ঘন্টা মাধবপুরে কাটাবেন। এরপর আবার ভানুগাছ ফিরে এখানেই দুপুরের খাবার খাবেন। ভালো রেস্টুরেন্ট আছে, হাওরের মাছ পাবেন। গ্রাম-বাংলা নামে একটা দোতালা রেস্টুরেন্ট আছে, সেখানে খুব ভালো পাবদা মাছ পাবেন।
ভানুগাছ বাজার থেকে শ্রীমঙ্গলের লোকাল সিএনজিতে চেপে শ্রীমঙ্গল বাজারের আগেই ন্যাশনাল টি মিউজিয়াম/বোর্ড এর গেটে নেমে যাবেন।
সিএনজি চালককে বলে রাখবেন আগেই, ওই নামিয়ে দেবে। টি বোর্ড মিউজিয়ামের চা বাগানের মাঝে ছড়া আছে একটা, এখানে ঘুরাঘুরি করে শ্রীমঙ্গল স্টেশনে ফিরবেন রিকশায় চেপে ৫ঃ৩০ এর মাঝে। বাজার থেকে খুব ভালো চা পাবেন, কিনে নিতে ভুলবেন না।
এর পর ঢাকার টিকেট কেটে ৫ঃ৫৫ এর পারাবর এক্সপ্রেস ট্রেনে ঢাকায় রওনা হয়ে যাবেন। রাত ১১টায় পৌঁছে যাবেন ঢাকা।
ট্রেন ভাড়া (১৮৫/২৪৫ শোভন/শোভন চেয়ার) করে, লোকাল সিনজি ভাড়া ৩০ করে পাড় হেড, শ্রীমঙ্গল-লাউয়াছড়া-ভানুগাছ-লাউয়াছড়া সব খানেই ৩০ টাকা করে খরচ পাড় হেড।
বিঃদ্রঃ সিনজি সারাদিনে রিজার্ভ নিয়েও চাইলে ঘুরতে পারেন, সারাদিনে ১০০০ টাকা নিতে পারে, বেশিও হতে পারে, টুরিস্ট দেখলেই ভাব বাড়ে। আর রিজার্ভ নিতে যেয়ে আপনাকে আজাইরা কিছু স্পটের নাম বলবে, খাসিয়া পুঞ্জির লোভ দেখাবে, ওরা আপনাকে যেই পুঞ্জি দেখাবে, এটা আসলে পুঞ্জিই না, আধুনিক গ্রাম, টেংরাটিলা গ্যাস দুর্ঘটনার জায়গার লোভ দেখাবে, এটা আদতে একটা ছোট ডোবা, লাউয়াছড়া থেকে ভানুগাছ যাবার রাস্তার পাশেই, লোকাল সিএনজির ড্রাইভারই আপনাকে বাইরের মানুষ বলে এটা দেখাবে।
আর যদি সব প্লেস পায়ের তলায় সর্ষে বেধে উড়ে বেড়ান, শেষ বিকেলে বাইক্কা বিল ঘুরে আসতে ভুলবেন না, অবশ্যই ট্রেনের সময় মাথায় রাখবেন।
লেখা- মাশুকুর রহমান