Friday 24 February 2017

প্রাচীন জমিদারবাড়ি মহেড়া,টাঙ্গাইল (PRACHIN JOMIDAR BARI MOHERA )

টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুরে অবস্থিত প্রাচীন জমিদারবাড়ি মহেড়া। এতো সুন্দর ও সযত্নে সংরক্ষিত মিদারবাড়ি এদেশে দ্বিতীয়টি নেই । মির্জাপুরে ঢাকা- টাঙ্গাইল মহাসড়কের চার কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত এমহেড়া জমিদারবাড়ি। ১৯৭২ সাল থেকে এ সুরম্য এ বাড়িতে পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার থাকায় পুরো জমিদারবাড়ি খুবই ভালো অবস্থায় সংরক্ষিত আছে। ঢাকা থেকে দিনে দিনেই ঘুরে আসা যায় এ   জমিদারবাড়ি থেকে। 

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক ছেড়ে সর্পিল আঁকাবাঁকা পথ পেড়িয়ে চোখ আটকে যাবে বেশ কিছু ঝকঝকে প্রাচীন স্থাপনা থেকে। আট একরজুড়ে বিস্তৃত এই জমিদারবাড়ি। প্রধান ফটক দুটি। এ ছাড়া এই জমিদারবাড়িতে রয়েছে বিশাল তিনটি প্রধান ভবন। সঙ্গে রয়েছে কাছারিঘর, নায়েব সাহেবের ঘর, গোমস্তাদের ঘর, দীঘি আর তিনটি লজ। শুরুতেই বিশাল একটি দিঘি। নাম তার বিশাখা সাগর। এর ভেতরে পাশাপাশি তিনটি সুরম্য প্রাসাদ। ভেতরে আছে আরও কয়েকটি ভবন, মন্দির ইত্যাদি। সবুজ আঙিনার সামনে সমান সারিতে দাঁড়িয়ে থাকা তিনটি প্রাসাদই মহেড়া জমিদারবাড়ির প্রধান আকর্ষণ। সর্ব ডানের প্রাসাদটির নাম চৌধুরী লজ, মাঝেরটি আনন্দ লজ এবং সর্ব বাঁয়ে মহারাজা লজ। প্রতিটি প্রাসাদের প্রবেশপথে আছে সিংহ দরজা। ভবনগুলোর পেছনে রানীপুকুর ও পাসরাপুকুর নামে দুটি পুকুর আছে। ধারনা করা হয় বাড়ির নারী সদস্যরা এই পুকুরগুলো ব্যবহার করতেন। একটু পেছনের দিকে কালীচরণ লজ নামে আরও একটি সুরম্য প্রাসাদ আছে মহেড়া জমিদারবাড়িতে। তবে এটি সামনের তিনটি প্রাসাদ অপেক্ষা ছোট। কালীচরণ লজের পাশেই আছে নিপুণ স্থাপত্য শৈলীতে নির্মিত মহেড়া জমিদারবাড়ির মন্দির।
ঢাকার মহাখালী বাস স্টেশন থেকে নিরালা, ধলেশ্বরী, ঝটিকা ইত্যাদি বাস যায় টাঙ্গাইল। ভাড়া ১২০ থেকে ১৬০ টাকা। এসব বাসে চড়ে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের জামুর্কি বাস স্টেশনের কিছুটা সামনে নামতে হবে। মহাসড়কের পাশেই মহেড়া জমিদারবাড়ির সাইনবোর্ড আছে। সড়কের শুরুতেই মহেড়া যাওয়ার দিক নির্দেশনা দেওয়া আছে। প্রয়োজনীয় তথ্য এ জমিদারবাড়িতে প্রবেশ মূল্য 50 টাকা। এখানকার দায়িত্বে নিয়োজিত লোকজন পর্যটকদের জন্য বেশ সাহায্য পরায়ণ।